প্রকাশ : ২২ অক্টোবর ২০২৩, ১৮:৩৭
চাঁদপুর পদ্মা-মেঘনায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে ইলিশ শিকার : আরো ৫০ জেলে আটক
চাঁদপুরের জেলেরা প্রশাসনের চলমান অভিযানের মধ্যেও কতিপয় রাজনৈতিক ব্যক্তি ও জনপ্রতিনিধির ছত্রছায়ায় নিষিদ্ধ সময়ে পদ্মা মেঘনা নদীতে ইলিশ শিকার করছেন বলে অভিযোগ নদীপাড়ের মানুষের।
|আরো খবর
নদীযুক্ত খালগুলোতে অবস্থান নিয়ে জোয়ারের সময় ইলিশ ধরছে স্থানীয় জেলেরা। রাতের বেলায় সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করেও মাছ ধরছে তারা।লঞ্চের যাত্রী সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
প্রজ্ঞাপনে জানা যায়, সরকার ইলিশের প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষ্যে চলতি বছর ১২ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ২ নভেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ মাছ শিকার, পরিবহন ও সংরক্ষণে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এ বিধি লঙ্ঘন দণ্ডনীয় অপরাধ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নদীতে অসংখ্য জেলে ইলিশ মাছ শিকারে ব্যস্ত রয়েছেন। তবে, এ সময় অভিযান সংশ্লিষ্ট কাউকে নদীতে দেখা যায়নি।
মতলব উত্তর এখলাছপুর থেকে শুরু করে মতলবের চর এলাকা, রাজরাজেশ্বর চর, আমিরাবাদ, ফরাজিকান্দি, পুরানবাজারের হরিসভা, রনাগোয়াল, দোকানঘর, রামদাসদী, সাখুয়া খাল, বহরিয়া, লক্ষীপুরসহ সদর উপজেলার বিস্তৃর্ণ নদী এলাকা ও হাইমচরে অসংখ্য জেলে প্রশাসনের অভিযান ফাঁকি দিয়ে নদীতে যাচ্ছে এবং মা ইলিশ নিধন করছে। নদীর পাড়ে ও নদীরপাড় সংলগ্ন বাগানে নিয়ে গিয়ে মাছ বিক্রি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গাপুজার নিরাপত্তা কাজে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ব্যস্ত থাকায় এই সুযোগটি বেশি কাজে লাগাচ্ছে শ্রেণীর জেলেরা।
এদিকে, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনা নদীতে ইলিশ ধরায় চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলায় পৃথক অভিযানে ৫০ জেলেকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে চাঁদপুর সদরে আটক হয়েছে ২৩জন এবং হাইমচরে আটক হয়েছে ২৭জন।
শনিবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুরু করে রবিবার (২২ অক্টোবর) দুপুর ১টা পর্যন্ত উপজেলা টাস্কফোর্সের অভিযানে এসব জেলেদেরকে আটক করা হয়।অভিযানে অংশগ্রহণকারী চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম বলেন, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত চাঁদপুর সদরের মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় অভিযান করা হয়। এ সময় ২৩জন জেলেকে আটক করা হয়। এর মধ্যে ১৭জনকে ভ্রাম্যমান আদালতে ১০ দিন করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান এবং ৬ জেলে অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেয়া হয়।তিনি আরো বলেন, অভিযানের সময় ৮০ হাজার মিটার কারেন্টজাল, ৪টি মাছ ধরার নৌকা ও ৪০ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়।এদিকে হাইমচরে অভিযানে অংশগ্রহনকারী জ্যেষ্ঠ উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুব রশীদ বলেন, রোববার (২২ অক্টোবর) সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত উপজেলা টাস্কফোর্স মেঘনা নদীতে অভিযান করে ২৭ জেলেকে আটক করেন। একই সময় ২টি মাছ ধরার নৌকা ও ৪০ হাজার মিটার কারেন্টজাল ও ৫০ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়। আটক জেলেদের বিরুদ্ধে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে কারাগারে পাঠানো হবে।